১৯৭৩ সালের ৩১ মার্চ বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সূচনা হয়, যা একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর তারিখে আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের স্বীকৃতি পায়। ২ নভেম্বর ১৯৭৩ তারিখে এই সোসাইটি রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্টের আন্তর্জাতিক সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ রেড ক্রস (আইসিআরসি) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বাস্তু ও স্বজনহারা মানুষদের সহায়তায় বিশাল আকারের উদ্ধারকাজ শুরু করে। ২০০৬ সালে আবারো বাংলাদেশে ফিরে আসে আইসিআরসি এবং ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকারের সাথে একটি হেডকোয়ার্টার চুক্তি স্বাক্ষর করে এর মিশনকে প্রতিনিধিত্বে রূপান্তরিত করে। তখন থেকে আইসিআরসি নিয়মিত বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে দুঃস্থ মানুষদের যেকোন প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় রাষ্ট্রপতি আমাদের সোসাইটির এক্স- অফিসিও। রাষ্ট্রপতি প্রতি ৩ বছর পর পর সোসাইটির চেয়ারম্যানকে নির্বাচিত করেন। চেয়ারম্যান পর পর দুই বার এই পদে বসতে পারেন।
সোসাইটির সেক্রেটারিয়েট বড় মগবাজারের বিডিআরসিএস জাতীয় হেডকোয়ার্টারে অবস্থিত। সেক্রেটারিয়েটের দায়িত্বে থাকেন ম্যানেজিং বোর্ডের নির্বাচিত সেক্রেটারি জেনারেল। তিনি ম্যানেজিং বোর্ডের সেক্রেটারি এক্স-অফিসিও। এছাড়াও সেক্রেটারি জেনারেলের অনুপস্থিতিতে তাঁর কাজ পরিচালনার জন্য ম্যানেজিং বোর্ড একজন ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল নিযুক্ত করে। সেক্রেটারিয়েট পাঁচটি বিভাগ নিয়ে তৈরি - দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য সেবা, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন, কেন্দ্রীয় সার্পোট সেবা এবং হিসাবরক্ষণ।
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা মেটে ্রাপলিটন শহরে একটি করে ইউনিট সহ মোট ৬৮টি ইউনিট নিয়ে তৈরি বিডিআরসিএস।
আইসিআরসি বাংলাদেশে সম্মিলিত ও সংগঠিত সশস্ত্র অত্যাচারে নিপীড়িত মানুষদের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা প্রদান করে। বিভিন্ন প্রশাসন, শিক্ষাকেন্দ্র, আইন রক্ষাকারী সংস্থা ও সশস্ত্র বাহিনীর মাঝে আন্তর্জাতিক মানবিকতা আইন সম্পর্কে জানানোর ও তা প্রণয়ন করার দায়িত্ব পালন করে আইসিআরসি। এছাড়াও এই সংস্থা এর জাতীয় পার্টনার বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ক্ষমতা উন্নয়নেও সহযোগিতা করে। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ট্রেসিং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আইসিআরসি ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট নিখোঁজ মানুষদের ফিরিয়ে দেয় তাদের স্বজনদের কাছে এবং বিদেশে আটকে পরা বাংলাদেশীদের দেশে ফিরিয়ে আনার কাজেও সহায়তা করে। এছাড়াও দেশের সবচেয়ে দুঃস্থ ও পঙ্গুদের পুনর্বাসনের কাজও করে থাকে এই সংস্থা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস